স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জের ঘিওরে পূর্বশত্রুতার জেরে দিয়াইল গ্রামের ইউসুফ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সবির মৃধা, রশিদ বিশ্বাস, মো: শহিদুল খান, মো: উসমান বিশ্বাস, মো: হালিম বিশ্বাস, নাসির বিশ্বাস, বান্ধব বিশ্বাস ওরফে বান্দু, ,দোলো বিশ্বাস,মো: সাব্বির মৃধা,গোলজার আলী মৃধাসহ অজ্ঞাত একদল সন্ত্রাসী হামলায় আশরাফ মোল্লা, আক্তার খান, হাবিব খান ও শাহজাহান খানসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
আহত শাহজাহান খান জানান, গত বুধবার পুকুরে মাছ চাষের দেখা শোনা করিয়া বাড়ী ফেরার পথে বিকাল অনুমান ৫.০ঘটিকার সময়ে দিয়াইল আলম গাজী এর ভিটার পশ্চিম দক্ষিন কর্নারে রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। উক্ত সন্ত্রাসী ব্যক্তিগন আমাদের গতিরোধ করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করিয়া এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। সবির মৃধার হাতে থাক চাপাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আশরাফ মোল্লার এর মাথায় ডান পাশে কোপ মারিয়া মাথা ও কানে কাটা গুরুত্বর জখম করে। রশিদ বিশ্বাসের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আশরাফ মোল্লা এর মাথায় আঘাত করিল আশরাফ মোল্লা মাথা সরাইয়া নিলে নাকে লাগিয়া কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। ইউসুফ বিশ্বাসের হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া ঘা মারিলে আক্তার খান এর ডান পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলীতে লাগিয়া কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। শহিদুলের হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্তার খানের মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিলে আক্তার খান মাথা সরাইয়া নিলে ডান হাতের কনুইয়ের উপরে লাগিয়া কাটা গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়া অন্যান্যরা আমাদেরকে এলোপাথারিভাবে কাঠের বাটাম, লোহার রড দিয়ে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে। মারপিট করার সময় আক্তার খানের নিকট থাকা একটি মোবাইল ফোন মূল্য অনুমান ১২০০/- টাকা নিয়ে নেয়। আমাদের চিৎকার শুনিয়া আমার স্ত্রী, হারুন বিশ্বাস, আলীম বিশ্বাস, ভাতিজী রত্না আক্তার ও রিনা আক্তারগন সহ আরো লোকজন আগাইয়া আসিলে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। যাওয়ার সময় ভবিষ্যতে জানে শেষ করিয়া ফেলিবে বলিয়া হুমকী প্রদান করে চলে যায়। আহত আক্তার খান ও আশরাফ মোল্লার অবস্থা গুরুত্বর দেখিয়া চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। হাবিব খানকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করিয়া বাড়িতে পাঠানো হয়। এব্যাপারে ঘিওর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করিয়া ১৫/১০/২০২০ ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত দিয়াইল গ্রামের একটি খালের অবৈধভাবে ভেশাল দিয়ে মাছ ধরার দায়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জাল কেটে দেয় এবং সর্তক করে। চলে আসার পরপরই ঐ ভেশালের সাথে জরিতরা উক্ত ঘটনা ঘটায় বলে জানা গেছে।