ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) থেকে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিশেল মার্টিন এই ঘোষণা দিয়েছেন। দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হলেও স্কুল-কলেজ খোলা থাকবে। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ছয় সপ্তাহের এই লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। অপ্রয়োজনীয় ও কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা-বাণিজ্য এই সময়ে বন্ধ থাকবে। তবে সীমিত আকারে খোলা থাকবে রেস্তোঁরা ও পানশালা। এগুলো থেকে কেনাকাটা করে বাসায় নেওয়া যাবে অথবা হোম ডেলিভারি নেওয়া যাবে। মাত্র ২৫ শতাংশ গণপরিবহন চলাচল করবে। যাতে মানুষ তাদের জরুরি কাজকর্মগুলো সারতে পারে।
এক টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই সময়ে দেশের সকলকে বাসায় থাকতে বলা হলো। একমাত্র জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরা বাইরে বের হতে পারবেন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন। বাসস্থানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে নাগরিকরা ব্যায়াম করতে বের হতে পারবেন। এই নিয়ম অমান্য করলে জরিমানা গুণতে হবে।’
স্কুল-কলেজ খোলা রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডে কেয়ার সেন্টার ও স্কুল-কলেজ এ সময়ে খোলা থাকবে। এক করোনা মহামারির কারণে আমরা আমাদের শিশুদের ভবিষ্যত নষ্ট হতে দিতে পারি না। আমরা আগামী ছয় সপ্তাহ লকডাউন কঠোরভাবে পালন করবো। এরপর একসঙ্গে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে বড়দিন পালন করবো।’
ইউরোপ জুড়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যতিক্রম নয় আয়ারল্যান্ডও। সেখানে মহামারি করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১ জন। মারা গেছে ৭৭ জন। কিছুদিন আগেও দৈনিক মৃতের সংখ্যাটা একক সংখ্যার ঘরে ছিল।