সিংগাইর প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শকের করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তার নাম উম্মে কুলসুম। বয়স আনুমানিক(৪৫)। ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে থাকেন তিনি। তাকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রি সরকারি হাসপাতালের আইসোলোশনে রাখা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা: মো: সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, উম্মে কুলসুম সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত। গত ২৬ মার্চ তিনি সর্ব শেষ অফিস করেন। অসুস্থতাজনিত কারণে এরপর আর সে অফিসে আসেনি। জ্বর-সর্দি কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে উম্মে কুলসুম শনিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) গিয়ে পরিক্ষা করেন। তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তাকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রি সরকারি হাসপাতালের আইসোলোশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ঢাকার মিপুরের টোলারবাগের যে বাড়িতে উম্মে কুলসুম থাকতেন সে বাড়িটি লকডাউন করেছে প্রশাসন। তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য লোকজনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে তাবলীগ জামাতের মুসল্লি আব্দুল বাকি (৬০) করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর সিঙ্গাইর পৌরসভা লকাডউন ঘোষনা করা হয়েছে। আব্দুল বাকির বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার মধ্য কাইচাইল গ্রামে। ১৩ সদস্যের তাবলিগ জামাতের একটি দলের সাথে তিনি গত ২৪ মার্চ থেকে পৌর এলাকার আজিমপুর নয়াডাঙ্গী বাইতুল মামুর ও মারকাযুল মা আরিফ ওয়াদ-দা ওয়াহ মাদ্রাসা মসজিদে অবস্থান করছিলেন। বর্তমান তাকে ঢাকার রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) এর তত্বাবধায়নে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে তাবলিগ জামাতের মুসুল্লি আব্দুল বাকীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানার পর সিঙ্গাইর পৌরসভা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তার (আব্দুল বাকি) সংস্পর্শে আসা তাবলিগ জামাতের বাকি ১২ মুসল্লি ও মসজিদের ইমাম এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৯ জনকে নিজনিজ বাসস্থানে হোম আইসোলোশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।