স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ধামধারা গ্রামে চিনি মিশিয়ে খেজুর গুড় তৈরীর অপরাধে দুইজনকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ (সোমবার) ভোরে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, দেশজুড়ে মানিকগঞ্জের খেজুর গুড়ের সুনাম এবং চাহিদা রয়েছে।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের গাছীদের এলাকায় এনে খেজুর গাছ কাটাচ্ছেন এবং খেজুর গাছের রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেজুরের গুড় তৈরী করাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, মানিকগঞ্জের খেজুর গুড়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং ভেজাল মুক্ত খেজুরের গুড় নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আজ (সোমবার)সকাল সাতটার দিকে ধামধারা গ্রামে অভিযানে নামেন তিনি।
অভিযানকালে ওই গ্রামের খেজুর গুড় ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন
(৬০), রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গৌরাঙ্গপুর গ্রামের গাছী মশগুল মিয়া (৪৮)সহ তার আরও চার সহযোগি চুলায় রস জ্বাল করতে দেখা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে, ২০ হাড়ি রসের সাথে ৪০ কেজি চিনি মিশিয়ে খেজুর গুড় তৈরী করার কথা স্বীকার করে তারা। নিজেদের অপরাধ স্বীকার করা এবং ভবিষ্যতে এই অপরাধ করবে না বলে অঙ্গীকার করায় ভেজাল বিরোধী আইনে বিল্লাল হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা এবং মশগুল মিয়াকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর একই উপজেলার দরিকান্দি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের হাতে নাতে ধরতে পারেননি। তবে, তারা রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেজুর গুড় তৈরী করার কথা স্বীকার করেছে। ভবিষ্যতে ভেজাল গুড় তৈরী করবে না মর্মে অঙ্গীকার করায় তাদের তিনজনকে সতর্ক করেছেন নবলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতেও এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সহায়তা করেন হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নজরুল ইসলাম, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জেলা শাখার সদস্য রফিকুল ইসলামসহ আনসার সদস্যবৃন্দ।