স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষককেজেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। আজ (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মানিকগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জাহান তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক কাউছার আহমেদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তিনি দুই মাস আগে সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেন। কোর্ট ইন্সপেক্টর হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ভুক্তভুগী দুই ছাত্রের পক্ষে এক ছাত্রের পিতা গতকাল (রবিবার)রাতে সিংগাইর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আজ (সোমবার) বিকেলে আদালতে ভুক্তভুগীরা ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে জেলা হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেছেন।’ অভিযোগকারী ওই অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে ওই আবাসিক মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। গতমাসের ২৮ তারিখ রাত নয়টার দিকে তাকে এবং ২১ তারিখ দিবাগত রাত চারটার দিকে তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রকে বলাৎকার করে। কাউকে জানালে খুন করার হুমকী দেওয়ায় তারা ওই সময় এই ঘটনা কাউকে জানায়নি।
ঘটনার পর থেকে তারা মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে গতকাল (সোমবার)বলাৎকারের বিষয়টি জানা যায়। গতকাল এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে সে তার অপরাধ স্বীকার করে। পরে তাকে বায়রা ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হলে চেয়ারম্যান পুলিশকে অবহিত করেন।
এরপর পুলিশ এসে ওই শিক্ষক ও ভুক্তভুগী দুই ছাত্রকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে রাত্রি যাপনের পর, আজ অভিযুক্ত শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে মানিকগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে দেয়। বিচারক অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং ভূক্তভুগী দুই ছাত্রকে আমার কাছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।’