স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে স্বামী তালাক দিয়েছে শুনে আগুন দিয়ে পালিয়েছেন এক নারী। অভিযুক্ত ঐ নারীর নাম মুন্নি আক্তার (৩৫)। তিনি উপজেলার চালা ইউনিয়নের সাপাইর গ্রামের মৃত মোসলেম মৃধার কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৯ মে একই ইউনিয়নের চালা গ্রামের আজিজ খানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী মিলন খানের সাথে মুন্নি আক্তারের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই মুন্নি আক্তারের সন্দেহ প্রবণতার কারণে বিভিন্ন সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিলন খান মুন্নিকে তালাক দেয় এবং তালাকের কাগজ প্রতিবেশীদের কাছে রেখে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মুন্নি আক্তার স্বামীর তালাক দেওয়ার কথা জানতে পেরেও বাড়ি থেকে না যাওয়ায় শ্বশুর আজিজ খান এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে থানায় বিষয়টি জানাতে যায়। এই ফাঁকে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় মুন্নি। প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভায় এবং আজিজ খানকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়।
আজিজ খান বলেন, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ায় তার প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, ঘরে থাকা কয়েকদিন আগে একটি এনজিও থেকে উঠানো ঋণের এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা পুড়ে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এছাড়া, আগামীকাল এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে হরিরামপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিজন বিশ্বাস বলেন, তারা পৌঁছানোর পূর্বেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুঈদ চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। তবে, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।