স্টাফ রিপোর্টার:

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে। গত কয়েকদিন ঘাটে ভিড় থাকলেও বুধবার (১২ মে) ভোরে যাত্রীর চাপ আরও বেড়েছে। সকাল ৬টা থেকে ঘাটের ১, ২ ও ৩নং পন্টুনে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ে পা রাখার ঠাঁই নেই।

দেশের করোনা সংক্রমণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে হাজার হাজার মানুষ ফেরিযোগে বাড়ি ফিরছেন। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে পদ্মা নদীতে সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করেছে।

সরকারে নির্দেশানা অনুসারে দেশের দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি চলাচল রোগী, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী যান ও জরুরি সেবার যানবাহনের জন্য চলাচলের কথা থাকলেও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ছাড়াও গাদাগাদি করে যাত্রী পার হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার (১২ মে) ভোর থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসতে থাকে ঘরমুখো মানুষ। এতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শত শত যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন বোঝাই করে একের পর এক ফেরি ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে ৩টি রো-রো ফেরি, ৫টি ডাম্প ফেরি ও ৭টি কে-টাইপ ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন পারে চাপ রয়েছে। বর্তমান শিমুলিয়া ঘাটে তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে।

শিমুলিয়া ঘাটে কথা হয় মাদারীপুরের শিবচরের রহমান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখায় তারা। তবে ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিতে হচ্ছে। আর গণপরিবহন না চলায় সড়ক পথে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হয়েছে।

বাগেরহাটের যাত্রী সাদিয়া ইসলাম বলেন, পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশা করে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ঘাটে এসে পৌঁছেছেন।