স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে পারাপারের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকস্তরে নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ৩৫ কিঃমিঃ এলাকায় ৪’শত এবং পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ২’শতাধিক সিসি ক্যামেরা সচল রাখা হয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে এবং ঘাট এলায়াক প্রায় পাঁচ শতাধিক পুলিশ ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
রবিবার পাটুরিয়া ঘাট এলাকা এবং মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান ।
ঘাট পরিদর্শন কালে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা ঠিকমত কাজ করছি বলেই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ নেই। সকাল থেকেই ঘাটে আসা যাত্রী ও যানবাহন অল্প সময়ের মধ্যেই নৌপথ পাড় হতে পারছে। শুধু পাটুরিয়া ঘাটেই শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য কয়েক শত পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে। তাছাড়া মহাসড়কে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য হাইওয়ে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ঘাট এলাকায় সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে। তবে, গতকালের চেয়ে চাপ অনেক কম। যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করতে বহরের ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
তিনি আরো জানান, সারাদিনই পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ি ও ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকলেও দূরপাল্লার বাসের চাপ নেই। বর্তমানে কয়েকটি বাস, কিছুছোট গাড়ি এবং শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক নৌপথ পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বাসের চাপ না থাকায় সিরিয়াল অনুযায়ী ছোট গাড়ি ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে পার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সংযুক্ত পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নদী বন্দর। বিগত বছরগুলোতে এই ঘাটে সাধারণ যাত্রী এবং যানবাহনের বহু চাপ থাকলেও এবার যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে।