স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনার সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চলাকালে মানিকগঞ্জে অকারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪ মামলায় ১৩৪ জনকে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেসময় জেলায় ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অকারণে মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ সড়ক-মহাসড়কে চলাচল ও গাড়ির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এই অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন,সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। জেলার সব উপজেলাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।’
‘সরকারি নির্দেশনা রক্ষা ও জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিকে, গত দিনগুলোর তুলনায় আজ রোববার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জ অংশে যাত্রী ও যানবাহন অনেক কম রয়েছে। তবে, জরুরি পণ্যের গাড়িগুলো চলাচল করছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জরুরি পণ্যের গাড়ির পাশাপাশি কিছু বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
সেসময় জরুরি পণ্যের গাড়িগুলো ছাড়া সব গাড়ির চালক ও যাত্রীকে পড়তে হয়েছে পুলিশের জেরায়। অকারণে বের হওয়া যাত্রীদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা, শুধুমাত্র তাদেরকেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
করোনা বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও লকডাউনের বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনের লক্ষ্যে জেলা শহরসহ অন্যান্য এলাকায় তথ্য বিভাগ ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করতে শোনা গেছে। জেলা শহরসহ বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে অধিকাংশ দোকান বন্ধ দেখা গেছে।
এ ছাড়াও, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী গাড়ির পাশাপাশি যাত্রী, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলতে দেখা গেছে। তবে, নৌপথেও যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম।