আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শোক র্যালিতে মানিকগঞ্জে জেলা বিএনপির সভাপতি রিতার নেতৃত্বে মানুষের ঢল
- প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
- ৩৯ বার দেখা হয়েছে
স্টাফ রির্পোটার:
ভাষা শহীদ রফিকের জন্ম জেলা মানিকগঞ্জে যথাযথ মর্যদায় পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সরকারের ব্যাপক জুলম-নির্যাতন,মামলা-হামলা,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলা-ভাংচুর,পুলিশী হয়রানি,মিছিল-মিটিংএ বাধা ও হামলাসহ বিভিন্ন সরকারী বাধারকারনে বিএনপির ঘাটি মানিকগঞ্জ শহরের ও প্রকাশ্যে মিছিল-মিটিং করতে পারেনি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। তবে অনেকদিন পর গত ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার নেতৃত্বে মানিকগঞ্জ শহরে স্মরণকালের অন্যতম বৃহৎ শোক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের শহীদ রফিক সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয় হতে শুরু হয়ে এই বৃহৎ শোক র্যালীটি জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ হতে শহীদদের স্মৃতির সম্মানে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। দীর্ঘ সময় পর জেলা শহর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। প্রকাশ্যে এতো বড় শোক র্যালী ও জমায়েত বিএনপিকে নতুন ভাবে চাঙ্গা করবে বলেও জানান নেতারা। উজ্জীবিত নেতা-কর্মীদের শ্লোগানে দীর্ঘদিন পর মুখরিত হয়ে উঠে বিএনপির ঘাটি মানিকগঞ্জ।
পুস্পস্তবক অর্পন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আফরোজা খান রিতা বলেন,ভাষার জন্যে ১৯৫২ সালে ও স্বাধীনতার জন্যে ১৯৭১ সালে যারা জীবন দিয়েছিলেন,তাদেরএকটা স্বপ্নছিলো এদেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীন হবে, মুক্ত কণ্ঠে কথা বলবে। থাকবেনা,জুলুম-অত্যাচান,নির্যাতন,লুটপাট-রাহাজানি।প্রকৃত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। মানুষ ফিরে পাবে তার মৌলিক অধিকার। কিন্তু আজ গনবিরোধী,ভোট চোর, জনগনের মৌলিক অধিকার হরণকারী আওয়ামীলীগ সরকার মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারকে বিদায় করে গনতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।
কেন্দ্রীয় যুবদলের অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এই জালিম সরকারের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে দেশের মানুষ আজ জিম্মি,আন্দোলনের মাধ্যমেই এই অনির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানো হবে। তিনি বলেন, পুরো দেশটাকেই এই তাবেদার সরকার কারাগারে পরিনত করেছে।মানুষের বেচে থাকার অধিকার আজ কেড়ে নিয়েছে। আমেরিকাসহ আমাদের বন্ধু দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছে।পুরোবিশ^ থেকে বাংলাদেশকে আজ বিচ্ছিন্ন করে ফেলার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমার উপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি মানিকগঞ্জে ছেলে কিন্তু আমি যেন মানিকগঞ্জে না আসি এবং রাজনীতি না করি এ বলে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। আজ আমার জীবন চরম হুমকির মুখে। শুধু আমি না আমার মত লক্ষ লক্ষ মানুষ আজ জীবন নিয়ে চিন্তিত। আমারা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই এ জালিম সরকারের পতন ঘটাবো।
জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, যে কোন মূল্যে আমরা দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবোই।
এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আঃ বাতেন, যুগ্ন সাধাারন সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন,এস এম ইকবাল হোসেন, আব্দুস সালাম বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম নূরতাজ আলম বাহার, দপ্তর সম্পাদক এ্যাড: আরিফ হোসেন লিটন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: জিয়াউর রহমান (জিয়া), কোষাধ্যক্ষ আঃ হক মোল্লা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ যাদু, জেলা বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন, দিপু, সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মো: জিন্নাহ খান, সদস্য সচিব রকিবুর রহমান রাকিব, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাক আব্দুর রাজ্জাক লিটন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবিহা হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমা আক্তার মুক্তি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান সজিব সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলা কার্যালয়ে র্যালী পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় জেলার রাজনৈকিতবিভিন্ন বিষয় উঠে আসে ।
