স্টাফ রিপোর্টার :
নাটোরে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও জনগণকে ঘরে রাখতে সকাল থেকেই প্রশাসনকে তৎপর দেখা গেছে।
দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে ৬ টা থেকেই নাটোর ও সিংড়া পৌর এলাকার প্রবেশমুখে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরপরও কৃষি পণ্য নিয়ে গলি-ঘুপসি পথ দিয়ে শহরের প্রবেশ করছে অটো ভ্যান রিকশা।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগের দিনও করোনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টায় নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মোট চার জন। আর জেলায় এপর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ জনে।
বুধবার (৯ জুন) বিকেলে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান সদর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কার্যসহকারী নবী আহমেদ ও রাতে নাটোর সদর হাসপাতালে মারা যান উত্তম কুমার সরকার নামে বঙ্গজল এলাকার এক বাসিন্দা।
লকডাউনের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও নানা অজুহাতে বের হওয়ায় ৪২ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নাটোর সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৭ জন।
নাটোর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায় জানান, নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪১ জন। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও নাটোরের ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা হোম কোয়ারেন্টিন অথবা অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নাটোর জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়ার পিএএ বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ও জনগণকে ঘরে রাখবার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ।