স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে পাওনা দেওয়া টাকা চাওয়া ও তার দোকানে জোরপূর্বক রাখা মালামাল সরাইয়া নেওয়ার কথা বললে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হন কার্তিক চন্দ্র শীল। এ ঘটনায় মো: মামুন হোসেন( ৩৮) ও দারোগ আলী (৫৮) দুইজনকে আসামী করে সদর থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১/৮/২০২০ ইং তারিখে পলাশ মন্ডল, পিতা মৃত-পরিরোষ মন্ডল এর নিকট হইতে মানিকগঞ্জ পৌরসভার, বাসষ্ট্যান্ড কাচাবাজার, দোকান নং-১০, মাসিক ৩৫০০/-টাকা ভাড়ায় দুই লাখা টাকা জামানত প্রদান করিয়া চার বছর মেয়াদে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হইয়া দোকান ঘরটি ভাড়া নেই। উক্ত দোকানে ব্যবসার জন্য মুড়ি চিড়াসহ বিভিন্ন মালামাল উঠাই। উক্ত দোকানের পাশে মামুন মিয়ার চাউলের দোকান রহিয়াছে। কয়েকমাস আগে আমার আমার ভাড়া নেওয়া দোকানে কিছুদিনের জন্য সে কিছু চাউল রাখতে চাইলে আমি মানবিকতা বিবেচনা করে রাখতে দেই। গত ৬ মাস আগে মামুনের বাবা আমার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা দুই তিন মাসের কথা বলে ধার নেয়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে এবং আমাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে। আমার দোকানে রাখা মালামাল সরাইয়া নেওয়ার কথা বললে মামুন আমাকে এলাপাথারী কিল ঘুষি মারিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার দোকানে থাকা জিনিসপত্র বাহিরে ফালাইয়া দিয়া তাহার মালামাল আমার দোকানে রাখে। এসময় আমাকে উদ্দেশ্যে করে হুমকী প্রদান করে বলে এ ঘটনা কাউকে জানালে তোকে এখানে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। এই এলাকা থেকে বের করে দিব। এঘটনায় তিনি আইনের সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো: মামুন মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল করলে তিনি রিসিভ করেননি।