1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে সরগরম ভারতের রাজনীতি

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২১ জুলাই, ২০২১
  • ৩৩০ বার দেখা হয়েছে

আমার নিউজ ডেস্ক,

পেগাসাস কাণ্ডে কিছুটা উত্তাল ভারতের রাজনীতি। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে লোকসভায়। তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, গণতন্ত্রের তিনটি স্তম্ভকে ভেঙে ফেলা হয়েছে পেগাসাসের মাধ্যমে।

রোববার রাতে দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে ভারতে অন্তত ৩০০ জন রাজনীতিক, সাংবাদিক, বিচারপতি, সরকারি কমকর্তার ওপর নজর রাখা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতারা।

মঙ্গলবার সকালে লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই পেগাসাস কাণ্ডে সুর চড়ায় বিরোধীরা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। ‘গুপ্তচর সরকার’ স্লোগান তুলে তারা সংসদে হৈচৈ শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেলা ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় লোকসভার অধিবেশন। ১১টায় পুনরায় অধিবেশন বসলে পেগাসাস কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই ফের মুলতুবি হয় অধিবেশন।

এদিকে বুধবার, পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত স্থায়ী সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। আগামী ২৮ জুলাই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে কমিটি।

শশী থারুর বলেছেন,‘দেশে একাধিক ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের অস্তিত্ব মিলেছে। যেহেতু এই স্পাইওয়্যার শুধু দেশের সরকারকের কাছেই বিক্রি করা হয়, তাই প্রশ্ন উঠছে, কোন সরকার? যদি ভারত সরকার কিছু না করে থাকে, সে ক্ষেত্রে অন্য কোনো সরকার এই কাজ করেছে। সুতরাং, এই ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে আছে।’

একই ইস্যুতে বুধবার বিজেপি সরকারকে তুলোধুনো করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

তিনি বলেছেন, ‘মন্ত্রী, আমলা, বিরোধীদের নেতা, বিচারপতিদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। নির্বাচন, সংবাদমাধ্যম ও বিচার বিভাগ হচ্ছে গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো। এই তিনটিই ভেঙে দিয়েছে। গণতন্ত্রের বদলে দেশজুড়ে গোয়েন্দাগিরি চালাচ্ছে বিজেপি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury