টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নিয়েছেন, কিন্তু ওয়ানডেতে সুযোগ আসছিল না। সুযোগ এলো প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ গায়ানাতে। নাসুম আহমেদ সুযোগের ষোলোকলাই পূর্ণ করলেন। দুই ম্যাচেই যেন দলে জায়গা পাকা করে নিলেন। এক কথায় যেন অটোচয়েজ!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে অভিষেক। উইকেট পাননি, তবে ডট বলের সমাহারে নাকানিচুবানি খাইয়েছেন ক্যারিবিয়ানদের। বোলিং ফিগার ৮-৩-১৬-০! উইকেট না পাওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ ছিল। তবে সেটা দ্বিতীয় ম্যাচেই পুষিয়ে নিয়েছেন। ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা! বোলিং ফিগার ১০-৪-১৯-৩!
নাসুমের পরিকল্পনাতেই থাকে ডট বল দিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা। সেটাতেই সফল হলেন বাঁহাতি এই স্পিনার, ‘আমার প্রথম পরিকল্পনাই থাকে ডট বল করা। পাওয়ার প্লেতে (বোলিং) করতে হয়, ফলে পরিকল্পনা থাকে যাতে রানটা আটকাতে পারি। ওই পরিকল্পনাতেই সফল হয়েছি। উইকেট পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। প্রথম ম্যাচে উইকেট না পাওয়াতে যে আক্ষেপ ছিল, সেটি চলে গেছে আর কী।’
টি-টোয়েন্টিতে ২২ ম্যাচ খেললেও ওয়ানডে ছিল অধরা। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অভিষেকের প্রায় ১৫ মাস পর সুযোগ এলো একদিনের ক্রিকেটে। তাতেই বাজিমাত। নাসুমের অনুভূতি, ‘খুব ভালো লাগছে। অপেক্ষা করছিলাম, সুযোগ আসার। এসেছে, (ভালো) করেছি, ভালো লাগছে। আর (দলের) সবাই পছন্দ করে। আমাকে নিয়ে সবাই মজা করে, হাসাহাসি করে। সবার সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক। তামিম ভাই ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমর্থন করে।’
দুই ম্যাচেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করলেও নাসুম নিজেকে দলে অপরিহার্য ভাবছেন না। কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বীও মনে করছেন না। ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসান দলে থাকলে নাসুমকে নিয়ে দুবার ভাবতে হতো। কিংবা তাইজুল ইসলামের সঙ্গেও জায়গা নিয়ে লড়তে হতে পারে। নাসুমের মনোযোগ শুধু ২২ গজেই।
নাসুম বলেন, ‘তাইজুল (ইসলাম) ভাই ওনার জায়গায় খেলবেন, আমি আমার জায়গায়। আমি তাইজুল ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও না। দলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছি এমন না। যে কয়টা ম্যাচই খেলি, ভালো খেলার প্রবণতা থাকে। স্থায়ী হয়ে গিয়েছি, এটি মনে করি না। আমাকে খেলতে হলে পারফর্ম করেই খেলতে হবে।’