আমার নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্বেচ্ছা বিরতিতে থাকা তামিম ইকবাল অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গত ২৭ জানুয়ারি বিপিএল চলাকালে ছয় মাসের জন্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে স্বেচ্ছা বিরতির ঘোষণা দেন তামিম, যা শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৭ জুলাই। বিরতি শেষ হওয়ার ১০ দিন আগে তামিম টি-টোয়েন্টি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন।
ওয়ানডে অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’ পোস্টের পাশে তিনটি গুডবাই ইমোজিও দিয়েছেন তামিম।
তামিমের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগ থেকে। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে উড়াল দেওয়ার একদিন আগে এক অনুষ্ঠানে তামিমকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন শুনে খুনসুটি করলেও আড়ালে খোঁচা দিয়ে তামিম বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি নিয়ে যে পরিকল্পনা আমার, সেটা তো আমাকে তো বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা বলে দেন, না হয় অন্য কেউ বলে দেয়। ওটাই চলতে থাকুক (হাসি) ।’ সেই আলোচনায় গায়ানায় থামিয়ে দিলেন তামিম।
বাংলাদেশের হয়ে তামিম সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর টানা ১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ না খেলায় গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। অনুশীলনের ঘাটতি এবং অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতা মিলিয়ে তামিম সরে আসেন। তখন থেকেই গুঞ্জন ছড়াতে থাকে এই ফরম্যাট থেকে তামিম নিজেকে সরিয়ে নেবেন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে তামিম নেই ২৬ মাস। সব মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচ খেলা হয়নি তার। তবে এই ফরম্যাটে খেলা, না খেলা নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানানোর যে সুযোগ তামিম পাননি তা ওই অনুষ্ঠানে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এভাবে, ‘এতোদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, আমি এটা ডিজার্ভ করি না যে আমি কী চিন্তা করি, না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা…। হয় আপনারা কোনও ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।’
৭৮ টি-টোয়েন্টিতে তামিম ১৭৫৮ রান করেছেন। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিমই। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়া তার নামের পাশে আছে আরো ৭টি হাফ সেঞ্চুরি।