নিউজ ডেস্ক:
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরে তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এলোমেলো বোলিংয়ের পর খেই হারানো ব্যাটিংয়ে ১৭ রানে হার দিয়ে শুরু হয়েছে তাদের। সিরিজ বাঁচাতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো পথ নেই। অধিনায়ক নুরুল হাসান জানিয়েছেন, তারা আগের ম্যাচের দুর্বল জায়গায় উন্নতি করে জয়ে ফিরতে চান।
কিন্তু সোহানদের কাছে সেই উন্নতি আনার সময় কোথায়? একদিন বাদেই আজ রোববার (৩১ জুলাই) নামতে হচ্ছে দ্বিতীয় ম্যাচে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হবে খেলা। দেখা যাবে সরাসরি টি স্পোর্টসে। দ্রুত সময়ে মাঠ নেমে আদতে কি উন্নতি সম্ভব?
প্রথম ম্যাচ শেষে সোহান বলেন, ‘অবশ্যই, দেখুন খুব ভালো ম্যাচ হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় ডেথ ওভারে শেষ পাঁচ-ছয় ওভারে খুব ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি। তারা খুব ভালো ব্যাট করেছে। এই কিছু জায়গা আছে, যেখানে আমরা উন্নতি করে পরের ম্যাচে নামতে পারি।’
বল হাতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু শেষটা ভীষণ এলোমেলো। শেষে চার ওভারে রান দিয়েছে ৬৫। যার মধ্যে শেষ দুই ওভারেই দিয়েছে ৩৮! আর ব্যাটিংয়ে শুরুটা হয়েছে উইকেট হারিয়ে। শেষ দিকে সোহান একাই চেষ্টা করে ব্যবধান ঘুচিয়ে এনেছিলেন, কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা কোনও ব্যাটসম্যান হাল ধরতে পারেননি।
অধিনায়কের মতে, ‘আসলে কোনও কিছু নিয়ে অজুহাত দেখাতে চাইছি না। ব্যাটি, বোলিং, ফিল্ডিং যাই বলেন সব আমরাই। যেটাই করি আমাদেরই ভালো করতে হবে। যেটা বলেছি, শেষ পাঁচ-ছয় ওভারে আমরা ভালো বল করতে পারিনি। পরের ম্যাচে এই জায়গায় আরও উন্নতি হবে।’
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নেমেছিল তিন পেসার নিয়ে। এই তিন পেসার ১২ ওভারে দিয়েছেন ১৩৭ রান। ম্যাচের বড় একটা পার্থক্য এখানে গড়ে দিয়েছে। এক পেসার কমিয়ে বাংলাদেশ আজ নামতে পারে স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদীকে নিয়ে। ব্যাটিংয়ে মুনিম শাহরিয়ার নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। তবে তিনি আরেকটা সুযোগ পেতে পারেন আজ। এছাড়া এনামুল হক বিজয় বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমেও ব্যাটিং করেছেন ধীরগতিতে। সেটার জন্যও ভুগতে হয়েছে। তবে মুনিম-এনামুল এ যাত্রায় বেঁচে যেতে পারেন। বাংলাদেশ নামতে পারে একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে।
এদিকে ঘরের মাঠে নিজেদের কন্ডিশনে সুযোগটা লাগিয়েছে জিম্বাবুয়ে। শুরুতে সেট হয়ে আস্তে বোলারদের ওপর চওড়া হয়েছেন। সিকান্দার রাজা ঝড়ো ইনিংস খেলে রান নিয়ে গেছেন পাহাড় চূড়ায়। ওয়েসলি মাধেভেরে এক প্রান্তে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সর্বোচ্চ ৬৭ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। আর ডেথ ওভারে বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। তারা আজই জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে চাইবে। বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হবে কঠিন। জিম্বাবুয়ে নামতে পারে একাদশে কোনো পরিবর্তন ছাড়াই।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুনিম শাহরিয়ার, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: রেগিস চাকাভা, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলে মাধেভেরে, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা, রায়ান বার্ল, লুক জংউই, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগ্রাভা ও তানাকা চিভাঙ্গা।