শেষবার আইসিসি ট্রফি জিতেছিল ভারত, ৯ বছর হয়ে গেছে। আর পাঁচ বছর হয়ে গেলো ভারত তাদের সবশেষ আইসিসি নকআউট ম্যাচ জেতার। আইসিসি টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার তালিকা লম্বা। মহেন্দ্র সিং অধিনায়ক ছিলেন, ২০১৩ সালে যখন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ভারত। কিন্তু ২০১৩ সালের পর ভারতীয় দল আইসিসির কোনও ট্রফি জিততে পারেনি।
২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল, ২০১৪ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ফাইনাল, ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপস: সবগুলোতে তাদের হৃদয়ভাঙার গল্প।
গ্রুপ পর্বে দারুণ পারফরম্যান্স ও আধিপত্য বিস্তার করলেও নকআউটের চাপ যেন নিতে পারছে না ভারত। ২০১৪ বিশ্বকাপের পর থেকে আটটি নকআউট ম্যাচ খেলে তিনটি জয় ও পাঁচটি হার। এবারের আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে সেই গেরো কাটাতে মানসিক শক্তি ও টেম্পারমেন্টের সঙ্গে দক্ষতাও জরুরি।
যে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ভারতের, সেখানেই শেষ করতে রোহিত শর্মার দলকে পার করতে হবে ইংল্যান্ড বাধা। আইসিসি নকআউট ম্যাচ ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার হলেও তারা আত্মবিশ্বাস নিতে পারে গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় থেকে। পরিসংখ্যানও আছে তাদের পক্ষে, ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২২ ম্যাচে ১২টি জিতেছে তারা।
সেমিফাইনালের ভেন্যুও ভারতের জন্য চেনাজানা। চলতি বিশ্বকাপে এই গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ রানে জিতেছিল তারা। এই আসরে এখানে খেলেনি ইংল্যান্ড। তাছাড়া এই মাঠেই ২০১৫ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হারের স্মৃতিও তাদের ভোলার কথা নয়।
ভারত এক কথায় উজ্জীবিত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সূর্যকুমার যাদবের অবিশ্বাস্য টি-টোয়েন্টি রেকর্ড এবং বিরাট কোহলির অ্যাডিলেড সাফল্যে ভর করে আইসিসি নকআউটের গেরো ভারত কাটাতে পারে কি না, সেটাই দেখার।