দেওয়ান সাদমান শাওন:
মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরে-র সাব সেক্টর কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী এর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।মানিকগঞ্জ জেলা সহ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে মানিকগঞ্জ জেলার স্বাধীনতার স্বপক্ষে শক্তির সমন্বয়ে বিপ্লবী পরিষদ গঠন করা হয়।বিপ্লবী পরিষদের (মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ও যুদ্ধ পরিচালনা)দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরীকে। যুদ্ধকালীন সময়ে ২নং সেক্টরের ২২টি থানার সমন্বয়ে গঠিত সাব সেক্টরে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ট্রেজারী ভবনের তালা ভেঙ্গে অস্ত্র লুট।ধাকা-আরিচা মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া।হরিরামপুর, টাঙ্গাইলের কিছু অংশ, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকার উত্তর দক্ষিণ সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত করাসহ।মানিকগঞ্জকে ২৫ মার্চ হতে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ বুক দিয়ে আগলে রাখেন।
এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষভাবে দেশের জন্য অসীম সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৬৬ সালে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তিনি মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্ধন্দিতা করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনে তিনি আবারও ন্যাপ (এম) প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্ধন্দিতা করেন।এর পর তিনি ইউনাইটেড পিপলস পার্টির সভাপতি হন।
পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৮ সালে মেজর জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) এর রাজনীতিতে যোগদান করেন।এবং ১৯৭৯ এর নির্বাচনে মানিকগঞ্জ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।পরবর্তীতে তাকে স্থানীও সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসুচির প্রধান উদ্যোগতাও ছিলেন তিনি।
১৯৮৭ সালের ৭ই অক্টোবর এই মহান মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন।