1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বনফুল এর স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ প্রায় অর্ধশতাধিক ডামি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ। এসএসসিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা, কারণ জানতে চান প্রধানমন্ত্রীও এসএসসির ফল: কোন বোর্ডে পাশের হার কতো? মানিকগঞ্জ ক্লিন সিটি’র উদ্যোগে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান মানিকগঞ্জে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি হায়দার আকবর খান রনো সিপিবি নেতা আর নেই একজন দেশপ্রেমিক একজন হিরো স্কোয়াড্রন লিডার ‘অসীম জাওয়াদ মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিক্যাল কলেজে চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আসিম জাওয়ানের পরিবারে চলছে শোকের মাতম

শেষ বলের জয়ে ছয় বছর পর ইসলামাবাদ চ্যাম্পিয়ন

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৩ বার দেখা হয়েছে

সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল)) ফাইনালে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও মুলতান সুলতানসের মধ্যে লড়াইটা হলো হাড্ডাহাড্ডি। করাচি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ বলে জিতে ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়ন হলো ইসলামাবাদ।

এদিন মুলতান আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তোলে। জবাবে শেষ বলে চার হাঁকিয়ে ৮ উইকেট হারানো ইসলামাবাদ জয় নিশ্চিত করে। এর মধ্য দিয়ে পিএসএল’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনটি শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে ইসলামাবাদ। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। অন্যদিকে টানা তিনটি ফাইনাল হারের কষ্টে নীল হয় মুলতান। এর আগে তারা ২০২২ ও ২০২৩ সালের ফাইনালেও হেরেছিল।

অবশ্য ইসলামাবাদের জয়ের নায়ক ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। তিনি বল হাতে প্রথমে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে মুলতানের রান নাগালে রাখেন। এরপর ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ফাইনালের ম্যাচসেরাও হন তিনি। আর ৩০৫ রান ও ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন ইসলামাবাদের অধিনায়ক শাদাব খান।

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি মুলতান। শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খান চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৯.৫ ওভারের মাথায় দলীয় ৬৭ রানের সময় রিজওয়ান ফিরলে ভাঙে এই জুটি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩ চারে ২৬ রান।

৮৫ রানের মাথায় নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। ১১৪ রানের মাথায় ফেরেন একপ্রান্ত আগলে লড়াই করতে থাকা উসমান খান। তিনি ৭ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে যান।

সেখান থেকে দ্রুত চারটি উইকেট হারায় মুলতান। ১২০ রানের সময় উসামা মীর (৬), ১২৬ রানেই খুশদীল শাহ (১১) ও ক্রিস জর্ডান (০) ফিরেন এবং ১২৭ রানে আব্বাস আফ্রিদি (১)। সেখান থেকে মুলতানের দলীয় সংগ্রহ ১৫৯ পর্যন্ত যায় ইফতিখার আহমেদের ব্যাটে ভর করে। তিনি ২০ বলে ৩টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে ইমাদের ৫ উইকেটের বাইরে শাদাব খান নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে এই উইকেটগুলো নেন তিনি।

রান তাড়া করতে নেমে ইসলামাবাদও ৫৫ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। কলিন মানরো (১৭), আগা সালমান (১০) ও শাদাব খান (৪) ফিরেন দ্রুত। সেখান থেকে মার্টিন গাপটিল ও আজম খান দলকে লড়াইয়ের মঞ্চে তোলেন ৪৭ রানের  জুটি গড়ে।

দলীয় ১০২ রানের মাথায় গাপটিল ফিরেন ফিফটি করে। ৩২ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। ১২১ রানের মাথায় ফেরেন আজমও। তিনি ২২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান। এরপর ১২৮ রানে হায়দার আলী (৫) ও ১২৯ রানে ফাহিম আশরাফ (১) আউট হলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে ইসলামাবাদ।

কিন্তু সেটা সামাল দিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ইমাদ ও নাসিম শাহ। তারা দুজন ১৬ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে ১৫৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। অর্থাৎ স্কোর লেভেল করেন। জিততে শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে নাসিম আউট হয়ে যান ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করে। তাতে শেষ বলে জিততে ১ রান প্রয়োজন ছিল ইসলামাবাদের। নতুন ব্যাটসম্যান হুনাইন শাহ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও শর্ট থার্ডম্যানের মধ্যখানের গ্যাপ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আর উল্লাসে ভাসান দলের খেলোয়াড়, কোচ-কর্মকর্তা, ভক্ত-সমর্থক সবাইকে।

বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মুলতানের খুশদীল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury