স্টাফ রিপোর্টার :
প্রতারক স্বামীর গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানিকগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী স্ত্রী। বুধবার দুপুর ১টার দিকে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভুক্তভোগী স্ত্রী মৌসুমী হোসেন মুন্নী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী স্ত্রী বলেন, ঢাকার মিরপুর ১ এর ডি-ব্লক এলাকার মো.কালাচান শিকদারের মেঝো ছেলে জাপান প্রবাসী মো. জুয়েল হোসেনে শিকদারের সাথে ২০১৯ সালের ১লা মে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মোবারক হোসেনের মেয়ে মৌসুমী হোসেন মুন্নীর। বিয়ের ১৭ দিনের মাথায় তিনি জুয়েল হোসেন আবার প্রবাসী ফিরে যান এবং সাড়ে ৩মাস প্রবাসী অবস্থানের পর আবার দেশে চলে আসেন তার স্বামী। তাদের দুই বছরের সংসার জীবনে গত ৭মাস আগে জান্নাতুল মেহেক রাইসা নামের এক কন্যা সন্তান আসে। এরপর পর থেকে তার প্রতারক স্বামী তাকে অপমান, অবহেলা, নির্যাতন ও যৌতুক দাবী করে। এর কিছুদিন পর তার স্ত্রীকে না জানিয়ে আবারও বিয়ে করেন তার স্বামী। এর কিছুদিন পর তিনি আবার প্রবাসে চলে যান এবং বর্তমানে তিনি প্রবাসে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পরে জানতে পারেন তাকে বিয়ে করার আগে আরো ৩টা বিয়ে করেছে এবং ২স্ত্রীকে নিয়ে জাপানে বসবাস করছেন। অপর স্ত্রীকে আলাদা বাসা ভাড়ায় রাখছেন। তাকে বিয়ের করার আগে এসব কথা গোপন রাখে।
পরে এসব প্রতারণার কথা জানতে পেরে চলিত বছরের ২৫ জানুয়ারি মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী। মামলার পরের দিন ২৬ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরয়ানা জারি করে আদালত।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারীর মা সেফালী, বোন মৌমিতা, মামা মিজানুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষী চ্যাটার্জী, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, জেলা সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি সাব্বিরুল ইসলাম সাবু, প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক আমার নিউজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আকরাম হোসেনসহ
ইলেকটনিক-প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।