মোঃ নাহিদুল ইসলাম হৃদয়, মানিকগঞ্জ
কথায় আছে ঘরে আগুন লাগলে কিছুটা হলেও অবশিষ্ঠ থাকে, কিন্তু নদীতে ভাঙ্গলে কিছুই আর বাকি থাকেনা। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলিনের ভয়ে দিন পার করছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ০৪ নং ওর্য়াডে কালিগঙ্গা পাড়ে বসতি স্থাপন করা প্রায় ৫০ টি পরিবার ও কৃষি জমির মালিকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নদীতে নতুন পানি আসতে শুরু করায় নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে নদীতে স্রোতের পরিমান রয়েছে কিছুটা আর তাতেই নবগ্রাম ইউনিয়নের পাছবারইল গ্রামের বটতলা থেকে শুরু করে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি চাঁন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কালিগঙ্গা পাড়ের পাছ বারইল গ্রামের প্রায় ৫০ টি বাড়ী এবং কয়েক হেক্টর ফসলী জমি ও স্থানীয় পাছ বারইল জামে মসজিদ সহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙ্গন আশংঙ্কায় রয়েছে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা স্থানীয় কৃষক মমিন মিয়া বলেন, নদীটা আগে আরো অনেক দূরে ছিল ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে নদী এই পর্যন্ত আসছে। গত বছর কিছু জিও ব্যাগ এখানে ফেলছিল কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এই বন্যার আগেই আমাদের এখানে কিছু জিও ব্যাগ যদি ফেলত তবে আমাদের বসত ভিটা ও কৃষি জমি রক্ষা পেত।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়গুন বিবি বলেন, একে এক তিনডা বাড়ী ভাইঙ্গা গেছে আমাগো এহন কিছু বালির ব্যাগ যদি দয়া কইরা ফালিয়ে দেয় তবে আমাগো বসত ভিটাডা রক্ষা পাইত। নদীর ভাঙ্গনে আমরা একবারে সর্বহারা হইয়া গেছি, আমাগো শেষ রক্ষাডা করেন আপনারা।
স্থানীয় বাসিন্দা শামসুর রহমান চাঁন মিয়া জানান, তারা এই ব্যাপারে এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকট নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্য স্থানটি পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করলেও পরবর্তী সময়ে আর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নদীপাড়ের ফসলী জমি যেখানে সারা বছর ধান, ভুট্টা, তিল, শাক, সবজি চাষ করা হয়ে থাকে ও স্থানীয় পাছ বারইল জামে মসজিদ এবং প্রায় ৫০ টির মত বসত বাড়ী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেন।
এব্যপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান,কালিগঙ্গা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন রোধে জি ও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ঐ এলাকাটিতে আমরা অতি দ্রুত পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।