1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন

ঘিওরে কর্দমাক্ত রাস্তা, হাজারো মানুষের ভোগান্তি

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১
  • ৮৫৭ বার দেখা হয়েছে


মোঃ সাইফুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার

মানিকগঞ্জ ঘিওরের দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার জাবরা হাট থেকে পেঁচারকান্দা বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়। জাবরা, পাল পাড়া, মাঝি পাড়া, কাউটিয়া, সাইংজুরী, রামেশ্বরপট্টি, পেঁচারকান্দা, পাশ্ববর্তী সিংজুরী ইউনিয়নের আশাপুর, সড়কঘাটাসহ আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষজন এই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করেন। এতে করে কৃষক, গৃহবধূ, ব্যবসায়ী, শ্রমীক, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবিসহ হাজারো মানুষের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি । তাদের আক্ষেপের যেন আর শেষ নেই।
সরজমিন গতকাল মঙ্গলবার এই রাস্তার মাঝামাঝি রাজবংশীপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কাঁচা রাস্তা কাঁদায় একাকার হয়ে গেছে। কাঁদা-পানি মাড়িয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করছে। এমন সময় নান্নু মিয়া নামক স্থানীয় এক কৃষক ভ্যানে করে ধান ভাঙাতে বাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এখানে ভ্যানের চাকা কাঁদায় ডেবে যায়। সেটাকে উদ্ধার করতে আশেপাশের ছোট ছোট শিশু কিশোরদের ঠেলা-ধাক্কা। হুলোস্থুল কান্ড। অবশেষে ভ্যান একদিকে কাঁত হয়ে ধানের বস্তা কাঁদা জলে নিমজ্জিত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি উঠে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুবই আতঙ্কে থাকতে হয়। অভিবাবকদের হাঁটু পানি মাড়িয়ে কাঁধে নিয়ে স্কুলে পৌঁছে দিতে ও আনতে হয়। বেশি কষ্টে পড়তে হয় রোগী ও লাশ নিয়ে যেতে। দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তা পাকাকরণে জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধরনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।

রাস্তাটির শুরু উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা থেকে এবং রাস্তার শেষ বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পেঁচারকান্দা বাজার। এই দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ায় উন্নয়ন কাজ বিঘ্ন হচ্ছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

 

 

কাউটিয়া গ্রামের আক্কাস মিয়া ও জাবরা এলাকার আমজাদ হোসেন বলেন, এই দুর্ভোগ চলছে কয়েক যুগ ধরে। রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও দুর্ভোগ লাগবে জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব যেন ম্লান। বর্ষাকালের এই সময়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু সমান কাদা হয়ে যায়। গ্রামের মানুষের চলাচলের যানবাহন, রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স, রিক্সা-ভ্যান, অটোবাইক, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী জাবরা হাট, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাইংজুরী বাজার, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা কেন্দ্র, পেঁচারকান্দা হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকেন এসব এলাকার মানুষজন।
জাবরা মাঝিপাড়া এলাকার সুবাস রাজবংশী, উৎপল রাজবংশী, কমল রাজবংশীসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, এখন বৃষ্টির সময় অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া শুকনো মৌসুমেও রাস্তার ধুলায় কাশিসহ অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এলাকার কৃষকদেও উৎপাদিত ফসলাদী ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনে মারাত্নক কষ্টকর ব্যাপার।
স্থানীয় বানিয়াজুরী ই্উনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চতু বলেন, রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে মানুষজনের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এব্যাপারে আমি দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। পেঁচারকান্দা বাজার থেকে এই রাস্তার এক কিলোমিটার পাকা করনের পাশ হয়েছে। আমার ইউনিয়নের অংশটুকু চলতি বছরেই কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী সাজ্জাকুর রহমান জানান, রাস্তাটি আমি সরজমিন পরিদর্শন করেছি। রাস্তাটি নদীর পাশ দিয়ে হওয়ায় কাজ করা কষ্টকর। বর্তমান অর্থবছরে পেঁচারকান্দা বাজার থেকে এই রাস্তার এক কিলোমিটার পাকা করনের অনুমোদন হয়েছে। বাকী অংশ আমাদের তালিকায় রয়েছে। এমপি মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে অগ্রাথধকার প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হবে।

এ ব্যাপারে ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ওই এলাকা একটু অনুন্নত। এ কারণে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছে এখানকার মানুষ। রাস্তার এক কিলোমিটার পাকা করণের কাজ দ্রুত শুরু হবে। বাকী অংশের কাজ এই অর্থ বছরেই করা হবে ইনশাল্লাহ।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury