স্টাফ রিপোর্টার :
সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জেও কঠোর লকডাউন চলছে। কেউ বিনা প্রয়োজনে বের হলে পুলিশের জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এদিকে লকডাউনে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়াতে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকলেও জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স এবং অতি জরুরি যানবাহন পারাপারে সীমিতভাবে ৩/৪ টি ফেরি চলাচল করছে।
মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় কেউ বের হলে তিনি পুলিশের জেরার মুখে পড়ছেন। পুলিশ তাদের বাড়িতে অবস্থান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ টহল দিচ্ছেন এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে মাস্ক পরার পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সর্বাত্নক লকডাউন পালনে সকলকে সরকারি বিধিমালা মেনে চলার আহবান জানান।
পুলিশ সুপার রিফাত রহমান সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউন কার্যকর করতে মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ফেরিঘাটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি এবং লকডাউন আওতার বাইরে রয়েছে এমন যানবাহন ছাড়া সকাল ৬টার পর থেকে অন্য কোনো যানবাহনই চলতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহনগুলোকে চলাচল এবং ফেরিতে পারাপার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) জিল্লুর রহমান জানান, শুধু জরুরি প্রয়োজনীয় ও লকডাউন আওতার বাইরে থাকা গাড়িগুলোকেই পারাপারের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ৩/৪ টি ফেরিতে জরুরি পারাপার করা হচ্ছে।