1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

করোনার আরেকটি নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা জুলাইয়ে

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩
  • ১২৭ বার দেখা হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশে গত এক সপ্তাহ ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। ফলে আগামী জুলাই মাসে করোনার আরেকটি ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘এক্সবিবি’ শক্তিশালী হয়ে ওঠায় আগামী জুন থেকে সংক্রমণ আরও তীব্র হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে চীন। এর বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে। এমনটি আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন এ বিষয়ে বলেন, নতুন ধরন এক্সবিবি হলো ওমিক্রনের নতুন একটি উপধরন। পাশের দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে। আমরা দেখেছি গত তিন বছরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুমে কোভিডও বাড়ে। সেই হিসেবে মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে সর্বোচ্চ কোভিড রোগী শনাক্ত হয় জুন-জুলাইয়ে। এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, করোনা বাড়লেও হাসপাতালে খুব বেশি রোগী বাড়বে না। তবে ঝুঁকিতে থাকবেন বয়স্করা, যারা দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এজন্য মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং হাত ধোয়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে। জনসমাগম রয়েছে, এমন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে ৬৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৮ জন শনাক্ত হয়। এদিন শনাক্তের হার ছিল ৪.৩১ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ৫.২৫ শতাংশ। দেশে গত কয়েক মাসে করোনা শনাক্তের হার ছিল ১ শতাংশের নিচে। চলতি বছরের মে মাসের শুরু থেকে সংক্রমণ হার আবার বাড়তে শুরু করেছে।

করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে যে শনাক্তের হার দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে তা কয়েক গুণ বেশি। কারণ এখন করোনা উপসর্গ থাকলেও অনেকে পরীক্ষার জন্য আসছেন না। যারা আসছেন, তারা হয় বিদেশ যাত্রী অথবা জরুরি কোনো সার্জারির জন্য করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর জুলাই মাসে আমাদের দেশে একটা পিক হয়। এ বছরও একটা পিক হতে পারে। আর এ সংক্রমণ এখন থেকে শুরু হয়েছে। সুতরাং আমাদের আরও সতর্কভাবে চলতে হবে। সরকারের উচিত হবে আমাদের যে বন্দরগুলো রয়েছে, সেখানে আবার স্ক্রিনিং বসানো। বাইরে থেকে যারা আসবে, তাদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। এখন যেহেতু মানুষ পরীক্ষা করছে না, তাই করোনার পরীক্ষাটা বিনামূল্যে করে দেওয়া উচিত, যাতে মানুষ আগ্রহসহ করোনার পরীক্ষাটা করে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury